লাতিন আমেরিকার ফুটবল ইতিহাসে আর্জেন্টিনা সবসময়ই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই দেশের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তার অসাধারণ প্রতিভা, কঠোর পরিশ্রম, এবং বড় মঞ্চে খেলার সামর্থ্য তাকে বিশ্ব ফুটবলের একজন কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই লেখায় ডি মারিয়ার ক্যারিয়ারের মূল মুহূর্ত এবং তার ফুটবল জীবনের উত্থান-পতনের গল্প তুলে ধরা হবে।
ক্যারিয়ারের শুরু
ডি মারিয়া ২০০৫ সালে আর্জেন্টিনার ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তার প্রতিভা নজরে আসে এবং ২০০৭ সালে তিনি ইউরোপের ক্লাব বেনফিকাতে যোগ দেন। বেনফিকার হয়ে খেলার সময়ই তিনি তার গতি, ড্রিবলিং দক্ষতা এবং গোল করার সামর্থ্য প্রদর্শন করেন।
রিয়াল মাদ্রিদে সাফল্য
২০১০ সালে ডি মারিয়া যোগ দেন স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদে। সেখানে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোপা ডেল রে এবং লা লিগার মতো বড় শিরোপা জিতেছেন। বিশেষত ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে তার অসাধারণ পারফরম্যান্স তাকে একটি “ম্যাচ উইনার” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
পিএসজিতে নতুন উচ্চতায়
২০১৫ সালে ডি মারিয়া প্যারিস সেন্ট জার্মেইনে (পিএসজি) যোগ দেন। ফরাসি ক্লাবের হয়ে তিনি একাধিক লীগ শিরোপা এবং ঘরোয়া টুর্নামেন্ট জিতেছেন। তার সৃজনশীল পাস এবং গুরুত্বপূর্ণ গোল করার ক্ষমতা পিএসজিকে ইউরোপীয় ফুটবলে শীর্ষে নিয়ে গেছে।
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে অবদান
ডি মারিয়ার ক্যারিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ তার জাতীয় দলের হয়ে খেলা। ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে তার গোল আর্জেন্টিনাকে স্বর্ণপদক জিতিয়েছিল। এছাড়া ২০২১ সালের কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে তার একমাত্র গোল আর্জেন্টিনাকে শিরোপা এনে দেয়। ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, যা আর্জেন্টিনাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করে।
বাংলাদেশে ডি মারিয়ার জনপ্রিয়তা
বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ডি মারিয়ার জনপ্রিয়তা বিশাল। মেসির পাশাপাশি তিনি আর্জেন্টিনা দলের একজন প্রিয় খেলোয়াড়। তার খেলার স্টাইল এবং বড় ম্যাচে তার পারফরম্যান্স বাংলাদেশের সমর্থকদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।
উপসংহার
অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া শুধু একজন ফুটবলার নন, বরং আর্জেন্টিনা এবং বিশ্ব ফুটবলের এক অনুপ্রেরণা। তার ক্যারিয়ারের প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের শিখিয়েছে যে কঠোর পরিশ্রম এবং আত্মত্যাগের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন সম্ভব। বাংলাদেশে ডি মারিয়ার প্রতি ভালোবাসা প্রমাণ করে যে ফুটবল সত্যিই এক বৈশ্বিক ভাষা
															



